Print

বহির্শত্রুর আক্রমণ

মানসিংহের সময়ে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের উত্তরোত্তর উন্নতি হয়। কিন্তু আকবরের পর জাহাঙ্গিরের সময় থেকে এই মন্দিরের উন্নতির ধারা একরকম বন্ধই হয়ে যায়। কারণ, উন্নতি নয়, মন্দির রক্ষাই তখন উড়িষ্যার রাজাদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায়। মোঘল সুবেদাররা মাঝে মাঝেই পুরী আক্রমণ করতেন। রামচন্দ্রদেবের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে পুরুষোত্তমদেব উড়িষ্যার রাজা হন। কিন্তু সম্রাট জাহাঙ্গির উড়িষ্যাকে মোঘল সুবা হিসেবে ঘোষণা করেন। উড়িষ্যার রাজধানী কটকে একজন সুবেদারও নিয়োগ করেন। প্রথম মোঘল সুবেদার হাশিম খাঁ-এর সময়েই ( ২৯.৯.১৬০৭ থেকে ২৪.৫.১৬১১ ) শ্রীজগন্নাথ মন্দির আবারও আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে ওঠে। এই সময় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল যা জেনে হিন্দুমাত্রেরই লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। ঘটনাটি জানা অসমের মোঘল সুবেদার ও ঐতিহাসিক মির্জানাথনের লেখা ‘বাহারিস্তান-ই-ঘায়েরিবইটি থেকে। আষাঢ় মাস। পুরীর আকাশে মেঘের ঘনঘটা। জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুরীতে তখন প্রচণ্ড ব্যস্ততা। এর সুযোগ নেয় কেশোদাস মারু নামে এক রাজপুত জায়গিরদার। কটকের পাশেই তার জায়গির। জাহাঙ্গিরকে খুশি করার জন্য হিন্দু হয়েও সে শ্রীজগন্নাথ মন্দির হঠাৎ আক্রমণ করে বসে। ততদিনে রথযাত্রার বিশেষ দিনটি পেরিয়ে গেছে। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার বিগ্রহ রয়েছে গুণ্ডিচা মন্দিরে। নদিন মাসির বাড়িতে কাটাবেন তাঁরা। তারপর উলটোরথ। এই উলটোরথের দিন বড় মন্দিরে ফিরে আসবেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা।

রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথদেবের বড় মন্দির অরক্ষিত অবস্থায় থাকে জানত কেশোদাস। অতএব মন্দিরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার এটাই উপযুক্ত সময়। তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করেছিল কেশোদাস। তার সঙ্গে ছিল কয়েকশো সেনানী। এরা প্রত্যেকেই রাজস্থানী তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশ নিয়েছিল। এবং আলাদা আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে।

কেশোদাসের আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ মন্দিরের পূজারিরা তাকে সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখান। ইতিমধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় কেশোদাসের সেনারা জমায়েত হয়। জগন্নাথদেবের অলংকার-গৃহ ভাণ্ডারটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে কেশোদাসের নির্দেশে তার সেনাবাহিনী ছদ্মবেশ ছেড়ে যার কাছে লুকানো যা অস্ত্রশস্ত্র ছিল বের করে নিজ নিজ মূর্তি ধারণ করে। দু-তিন কোটি টাকার স্বর্ণলঙ্কার লুট করেছিল কেশোদাস।

শ্রীজগন্নাথ মন্দির আক্রমণের খবর পুরুষোত্তমদেব পেলেন। তখন তিনি খুরদায়। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে পুরীর দিকে রওনা হলেন। যেভাবেই হোক মন্দির রক্ষা করতে হবে। মন্দিরের চারপাশ ঘিরে ফেলেন পুরুষোত্তমদেব। কেশোদাসের যেসব সেনা মন্দিরের বাইরে ছিল পুরুষোত্তমের প্রবল আক্রমণে তারা কচুকাটা হল। ততক্ষণে মন্দিরের চারটি প্রধান প্রবেশপথের ফটকেই ভেতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্দির হয়ে উঠেছে এক সুরক্ষিত দুর্গ। গজপতি রাজার মোকাবিলা করতে দ্রুত মাথা খাটিয়ে বুদ্ধি বের করল কেশোরাম। কাপড়, তাঁবু, খড় মন্দিরের ভেতর যা কিছু দাহ্য বস্তু ছিল সব এক জায়গায় জড়ো করল কার সেনারা। এরপর ঘি, সরষের তেল ঢেলে সেগুলি জ্বালিয়ে মন্দিরের প্রবেশপথের উপর থেকে পুরুষোত্তমদেবের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে ফেলা হতে লাগল। আগুনে তাঁর অনেক সেনা মরল। বেশ কিছু যুদ্ধরথও পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কিন্তু পুরুষোত্তমদেবের আক্রমণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কেশোদাস সত্যিই ভয় পেল। তার পরাজয় নিশ্চিত।

মন্দির ঘিরেই অপেক্ষা করছিল পুরুষোত্তমদেবের সেনারা। কেশোদাসকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হল। এভাবেই কাটল আরও কয়েকদিন। ইতিমধ্যে বঙ্গদেশের মোঘল সুবেদার ইসলাম খাঁ খবর পেলেন রাজা পুরুষোত্তমদেবের হাতে যে কোনও মুহূর্তে বন্দি হবে কেশোদাস মারু। আর এক মুহূর্ত দেরি না করেই সেনাপতি খাজা তাহির মহম্মদ বক্সের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পাঠালেন ইসলাম খাঁ। কেশোদাসকে সাহায্য করার জন্য মহম্মদ বক্স দ্রুত পুরীর দিকে রওনা হলেন। খবরটা পুরুষোত্তমদেবেও পেলেন। মহম্মদ বক্সের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি কোনওভাবেই জয়লাভ করতে পারবেন না বুঝতে পারলেন। তখন মন্ত্রী বিদ্যাধরের পরামর্শে কেশোদাসের সঙ্গে সন্ধি করলেন পুরুষোত্তমদেব। সন্ধির শর্ত অনুযায়ী প্রথমত, পুরুষোত্তমদেব তাঁর মেয়েকে দিল্লিতে জাহাঙ্গিরের কাছে পাঠাবেন। এর সঙ্গে নগদ আরও তিন লক্ষ টাকা সম্রাটের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঠাতে হবে। দ্বিতীয়ত, পুরুষোত্তমদেব তাঁর বোনের সঙ্গে কেশোদাসের বিয়ে দেবেন। এবং বিয়ের যৌতুক হিসেবে আরও একলক্ষ টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন।

সন্ধির পর শ্রীজগন্নাথ মন্দির থেকে মাত্র চল্লিশজন সৈনিককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে এল কেশোদাস। এরপর সোজা খুরদায় এসে পুরুষোত্তমদেবের বোনকে বিয়ে করেছিল। সন্ধির শর্ত অনুযায়ী পুরুষোত্তমদেব তাঁর মেয়েকে জাহাঙ্গিরের কাছে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল। গজপতি রাজাদের রাজত্বের ইতিহাসে সম্ভবত ঠাঁই হয়েছিল জাহাঙ্গিরের হারেমে। আজও খুরদা রাজবংশের এক হিন্দু নারীর এই দুর্ভাগ্যের কথা স্মরণ করে ব্যথিত হয়ে ওঠে মন। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গির খুশি হয়ে কেশোদাসকে দেড় হাজার মনসবদারির পদে নিয়োগ করেন।

মাদলাপাঁজিতেও কেশোদাসের শ্রীজগন্নাথমন্দির আক্রমণের কথা লেখা রয়েছে। তবে তার নাম কেশোদাস মারু নয় কেশোমারু। জগন্নাথদেবের রথযাত্রার আর এক নাম গুণ্ডিচা যাত্রা। সেই গুণ্ডিচা যাত্রার সময়েই কেশোমারু এসে হানা দেয় পুরীতে। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার তিনটি রথ পুড়িয়ে দেয় সে। ওই তিন বিগ্রহ তখন গুন্ডিচা মন্দিরে। রথ পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে উলটোরথের দিন পালকিতে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় বড় মন্দিরে।

পুরুষোত্তমদেবের রাজত্বের চতুর্দশ বছরে সুবেদার হাশিম খাঁ আবার পুরী আক্রমণ করেন। বিগ্রহ অপবিত্র হওয়ার ভয়ে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার দারুমূর্তি খুরদার গোপালা মন্দিরে লুকিয়ে রাখা হয়। পরের বছর তিন বিগ্রহকে আবার পুরীর মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়। মাদলাপাঁজির ৬৫ নম্বর পাতায় এই গোটা ঘটনার বর্ণনা প্রাচীন ওড়িয়া ভাষায় লিপিবদ্ধ রয়েছে-‘ই মহারাজঙ্ক যাত্রী পানে কেশোমারু আসি গুণ্ডিচা যাত্রা দেখি দুই দেউল ধাইলা। পরমেশ্বর গুণ্ডিচা ঘরে বিজে কারিথিলে। তিনি রথ পোডিদেলা। পরমেশ্বরনকু চৌদোলারে বিজে করাই কাহারিঙ্কা কানধে দেই বড় দেউলে বিজে করাইলে। আঠমাস পরিয়ান্তে দারাবান্ধারে রহিলা। পরমেশ্বরনকু শীতল ভোগ মানহি হেউথিলা। ই মহারাজঙ্ক ১৪ অঙ্কে হাশিম (খান) আইলা। সেভকে পরমেশ্বরনকু নিই খুরদারে গোপালা দেউলে বিজে করাইলে। ১৫ অঙ্কে শ্রীপুরুষোত্তম বড় দেউলে বিজে করাইলে।

মির্জানাথান ও মাদলাপাঁজির তথ্যগুলির চুলচেরা বিশ্লেষণের পর কোনও কোনও গবেষক অবশ্য এই মন্তব্য করেছেন যে পুরুষোত্তমদেবের মেয়েকে জাহাঙ্গিরের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে মির্জানাথন তাঁর ‘বাহারিস্তান-ই-গায়েরিতে যেকথা বলেছেন তা সঠিক নয়। কারণ, গজপতি পরিবারে কন্যা সন্তানদের বেশিদিন পিতৃগৃহে রাখা হয় না। জন্মের কিছুদিন পরেই অন্য কোনও আত্মীয়র বাড়িতে কন্যা সন্তানকে বড় হওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেওয়াই রীতি। রাজার মেয়েকে দত্তক নেন তাঁরই কোনও আত্মীয়। তাছাড়া পুরুষোত্তমদেবের মতো উড়িষ্যার এক ঠাকুররাজা সন্ধির শর্ত অনুযায়ী তাঁর মেয়েকে কোনওরকম প্রতিবাদ না করেই জাহাঙ্গিরের কাছে পাঠিয়ে দেবেন এ কথা বিশ্বাস করা শক্ত। সেরকম কিছু ঘটলে ঘটনাটি জাহাঙ্গিরের আত্মজীবনী ‘তুজুক-ই-জাহাঙ্গির-এ নিশ্চয়ই লেখা থাকত। তবে কেশোমারুর আক্রমণ যে ঘটেছিল, তাতে সন্দেহ নেই। এইসব ঘনঘন আক্রমণের জন্য রাজা পুরুষোত্তমদেবের আমলেই শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে দৈনন্দিন পুজো-অর্চনা বেশ কয়েক বছর পুরোপুরি বন্ধ ছিল। জগন্নাথদেবের কোনও উৎসব হয়নি। রথযাত্রার মতো এতবড় একটি উৎসবের আয়োজন করাও সম্ভব হয়নি। এর কারণ কী ? পুরুষোত্তমদেবের রাজত্বে পুরীর মন্দিরে উপর দু-এক বছর পরপরই আক্রমন হয়েছে। তাঁর রাজত্বের পঞ্চদশ বছরে জগন্নাথদেবকে আবার পুরীর মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দু বছর যেতে না যেতেই উড়িষ্যার সুবেদার হয়ে এলেন কল্যাণ মাল্লা। তিনি ছিলেন রাজপুত। হলে কী হবে, দিল্লীশ্বরের মন পেতে তিনিও সমান ব্যস্ত ছিলেন। কল্যাণ মাল্লা যাতে বিগ্রহের কোনও ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সময় থাকতেই জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার মূর্তি চিলকা হ্রদের কাছে মাহিসানাসি পাহাড়ে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর বিগ্রহগুলিকে আরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হল। কোথায় ? গুরুবাদাই গড়ে। এখানে নদীতে কয়েকটি নৌকা একসঙ্গে পাশাপাশি বেধেঁ তার উপর বিগ্রহগুলিকে রাখা হয়।

কল্যাণ মাল্লার পর মাকরম খাঁ উড়িষ্যার সুবেদার হয়ে এলেন। জাহাঙ্গিরকে খুশি করার জন্য তিনিও খুরদা ও পুরী আক্রমণ করলেন। পরাজিত পুরুষোত্তমদেব এক বছর আত্মগোপন করেছিলেন। রাজাই যেখানে নেই সেখানে কোন সাহসে পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে ফিরিয়ে আনবেন পূজারিরা ? ফলে পুরীর মন্দির বিগ্রহহীন হয়ে রইল বেশ কিছুদিন। মুসলমান শাসনে হিন্দু-মন্দিরের এই লাঞ্ছনা সাধারণ নিয়ম হলেও জগন্নাথ মন্দিরে এই অত্যাচার যেন আরও প্রবলাকার নিয়েছিল। পুরী ধামের খ্যাতি তার অন্যতম কারণ।

জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার লুকানো দারুমূর্তি মনাত্রি নামে এক অজ গাঁ থেকে পুরীর বড় মন্দিরে নতুন করে প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব রাজা নরসিংহদেবের। এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেন শাহজাহানের রাজপুত সেনাপতি ভীম সিংহ। শাহজাহান তখন সম্রাট হননি। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য! যে মন্দির লুট করেছিল কেশোদাস মারু, তারই স্বজাতি আর এক মহানুভব রাজপুত সেই মন্দিরে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে রাজপুত জাতির কলঙ্ক কিছুটা হলেও মোচন করেন। দীর্ঘ চার বছর পর বড় মন্দিরে জগন্নাথদেবের দর্শন পেয়ে অনাবিল আনন্দে ভরে ওঠে অগণিত তীর্থযাত্রীর মন। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা যেদিন বড় মন্দিরে এলেন সেদিন পুরীতে মহোৎসব। জগন্নাথ বিরহে এতদিন প্রায় অর্ধমৃত অবস্থায় ছিলেন পুরীর মানুষ। চার বছর অন্ন-মহাপ্রসাদ বন্ধ ছিল জগন্নাথদেবের। এদিন থেকে তাঁর অন্নভোগ পুনরায় শুরু হয়। ওড়িয়া ভাষায় গোটা ঘটনার বর্ণনা মাদলাপাঁজিতে রয়েছে-‘পাতিসা পাটনা গালে। পরমেশ্বর ইয়ে মনাতিরি থরে ব্রহ্মবিজে করিথিলে, এথারে শীতল-ভোগ মুনোহি হেউথিলে। রাজা ভীম শ্রীপুরুষোত্তম আইলাকু রাতি, রাতি-ব্রহ্ম আনি বিজে করাই সমখুদি-ভোগ মুনোহি হিলে

জগন্নাথদেব বড় মন্দিরে আসন গ্রহণ করার পর আগের মতোই তাঁর বাৎসরিক উৎসবগুলি একে একে শুরু হল। জগন্নাথদেবের নতুন একটি উৎসব শুরু করলেন নরসিংহদেব। এর নাম ‘বসন্ত-গুণ্ডিচা! এটিও এক ধরনের রথযাত্রা। বসন্তকালে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংহদেবের সভাকবি হলধর মিশ্রের ‘বসন্তোৎসব মহাকাব্যম-এ এই উৎসবের কথা রয়েছে। স্কন্দপুরাণ ও অন্যান্য পুরাণে বসন্তকালেও জগন্নাথদেবের রথযাত্রার সপক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছে।